ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় গড়াই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে তীরবর্তী জমি।
স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীর তীর ধসে যায়। সেখানে নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে প্রভাবশালীরা এ কাজে জড়িত থাকায় তারা কিছু বলতে পারছেন না।
সরেজমিনে গড়াই নদের ডুমাইন ঘাটে দেখা যায়, নদীর মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। সেখান থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে নদীর ঘাটে সংযোগ তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপনের ভাতিজা সোহাগ রানা এই ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালুর ব্যবসা করছেন।
এ ব্যাপারে সোহাগ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমি নই বরং এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন।”
ডুমাইন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন জানান, তার ভাতিজা সোহাগ মৃধা বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন। তবে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে ওই বালুর শেড ভেঙে ড্রেজার মেশিন তুলে নিতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, “ডুমাইন ঘাটে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর জানতে পেরে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যানকে বালু রাখার শেড ভেঙে ড্রেজার মেশিন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”