• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’

‘মিথ্যা আশ্বাস আর নয়, এবার টেকসই বাঁধ চাই’, ‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’ এমনই নানা স্লোগান স্লোগানে মুখরিত করে উপকূলীয় এলাকার জানমালের নিরাপত্তার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মানুষ।

স্থানীয় শত শত মানুষের অংশগ্রহণে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

উপকূলবাসী আয়োজিত এই মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আবু তাহের, মোক্তার হোসেন, তরিকুল, স ম ওসমান গনি সোহাগ, মাসুম বিল্লাহ, নিসাত, রায়হান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “শুধু ঘূর্ণিঝড় রেমাল নয়, প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তাব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। শোনান নানা মেগা প্রকল্পের গল্প। কিন্তু গাবুরা ব্যতীত অন্য কোথাও এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”

তারা বলেন, “উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে না পারলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।”

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে উপকূলের মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে।”

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে গত কয়েক বছরে হাজারো পরিবারকে বাস্তুচ্যূত হতে হয়েছে। উপকূলের মানুষকে জিম্মি করে বাঁধ ভাঙার আশায় থাকেন এক শ্রেণির অসাধু মানুষ। বাঁধ মেরামতের নামে তারা লাখ লাখ টাকা লোপাট করেন।”

বক্তারা উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

Link copied!