• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী : প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী : প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে আসেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। ছবি : সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ (পলক)। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না।”

দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তাকে দেখতে আসেন সিংড়ার সংসদ সদস্য জুনাইদ আহ্‌মেদ।

এর আগে সোমবার নাটোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রামে ফেলে রেখে যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সহযোগীরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। লুৎফুল হাবীব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদের শ্যালক।

আজ সকালে জুনাইদ আহ্‌মেদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি অসুস্থ দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের নিচতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, “আমি বিদেশে ছিলাম। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত একটায় দেশে ফিরেছি। তবে বিদেশে থেকেও ঘটনার সব সময় খোঁজখবর নিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি নাটোরের মাটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।”

ওই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও নির্বাচনের প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ হয়ে তারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

Link copied!