• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২২ রজব ১৪৪৬

‘আমি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, সোহেল আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব’


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
‘আমি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, সোহেল আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব’

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সোহেল উদ্দিনের (২৫) বাড়িতে হাতে রশি নিয়ে অনশন করছে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রেমিক সোহেল উদ্দিন হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী একই গ্ৰামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে পরিচয় হয় তাদের। পরে সোহেল প্রেমের প্রস্তাব দেন কিশোরীকে। রাজি না হওয়ায় সোহেল তাকে হুমকিসহ নানাভাবে উত্যক্ত করে। একপর্যায়ে তারা জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। কয়েক মাস পর শারীরিক সম্পর্কও হয় তাদের। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হতো তাকে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। এ সময় ভ্রূণ নষ্ট করতে চাপ সৃষ্টি করেন সোহেল। শেষে সম্পর্কের বিষয়টিও অস্বীকার করেন সোহেল।

ভুক্তভোগী কিশোরী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, “সোহেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পেটের সন্তান নষ্ট করতে সোহেল আমাকে মেডিসিন দেয়। মেডিসিন না খাওয়ায় সে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে বিয়ে করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে, আমি এই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করব।”

স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর নবী বলেন, “মেয়েটি দুই দিন ধরে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। মেয়েটির আসার খবর পেয়ে পরিবারের সবাই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। মেয়ের দাবি বিয়ে করতে রাজি হওয়া বা সম্পর্ক মেনে নেওয়া। না হয় সে আত্মহত্যা করবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করলেও প্রেমিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সোহেল বলেন, কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি উভয়পক্ষের মধ্যে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। সমাধান না হলে ভুক্তভোগী ও তার পরিরবার আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি এবং থানার একটি টিম ওই এলাকায় গিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!