• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালালেন স্বামী-শাশুড়ি


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালালেন স্বামী-শাশুড়ি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সানজিদা আক্তার (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ঘটনা ঘটে। মৃতের পরিবারের দাবি, হত্যা করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল সানজিদাকে।

এর আগে রাত ৯টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নে সুন্দাদিল গ্রামে স্বামীর বাড়িতে সানজিদার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে সানজিদার শাশুড়ি জামিলা খাতুনকে আটক করা হয়।

মৃত সানজিদা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুদন্তি গ্রামের মাতু মিয়ার মেয়ে। তিনি মাধবপুর উপজেলার সুন্দাদিল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ওই নারীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন স্বামী, শাশুড়িসহ কয়েকজন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণার পর কৌশলে তারা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সানজিদার স্বজনরা হাসপাতালে আসেন।

মৃতের বাবা মাতু মিয়া বলেন, “প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে সানজিদার সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাধ্য মতে ফার্নিচার ও স্বর্ণ দিই। বিয়ের তিন মাস পার হতে না হতেই আমার ফুটফুটে মেয়েটার জীবন চলে গেল। আমি এর বিচার চাই।”

এ বাবা আরও বলেন, “বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি নানাভাবে সানজিদাকে নির্যাতন করে আসছিল। শাশুড়ির ইচ্ছা ছিল, তার ভাইয়ের মেয়েকে মিজানের সঙ্গে বিয়ে দেবে। এটাই আমার মেয়ের জন্য কাল হয়েছে।”

মানু মিয়া বলেন, “কয়েকদিন আগে পরিবার থেকে মেয়েকে ও জামাইকে আলাদা করে দেওয়া হয়। পারিবারিক বিরোধের কারণে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী, শাশুড়ি, স্বামীর বোনসহ পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।”

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাশুড়ি জামিলা খাতুনকে আটক করা হয়। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

Link copied!