• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০, ১২ রমজান ১৪৪৬

হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রী রিক্তা বেগমের (২৯) মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন জাকির মোল্লা (৩৭) নামের এক যুবক।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত রিক্তা বেগমের মরদেহটি উদ্ধার করেন।

নিহত রিক্তা বেগম উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামের আজিজ শিকদারের মেয়ে। তার স্বামী জাকির মোল্লা পাশ্ববর্তী দীঘলকান্দা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে।

নিহতের বোন হাফিজা আক্তার বলেন, “প্রায় ১২ বছর আগে দীঘলকান্দা গ্রামের জাকির মোল্লার সঙ্গে পারিবারিকভাবে রিক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাকির মোল্লাসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় তাকে অত্যাচার, নির্যাতন করত। গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রিক্তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে ঘরে আটকে রাখে। পরে ওইদিন প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে গোপনে রিক্তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।”

হাফিজা আরও বলেন, “রিক্তা মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি হাসপাতালে ফেলে রেখে তার স্বামীসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। এরপর আত্মগোপনে থেকে মঙ্গলবার দুপুরে জাকির মোল্লা আমাদের মোবাইলে জানায়, ‘রিক্তা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আপনারা ফরিদপুর হাসপাতালে আসেন’। পরে আমরা ফরিদপুর মেডিকেলে গিয়ে রিক্তার মরদেহ দেখতে পাই। নিহতের শরীরের পেটে, মাথায়, হাতে, কানেসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার বোনকে জাকির ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার দাবি করছি।”

এ ব্যাপারে জাকির মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!