• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩০, ১ শাওয়াল ১৪৪৬

বিয়ের পর স্বামী গেলেন প্রবাসে, টিকটকারের সঙ্গে পালালেন নববধূ


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
বিয়ের পর স্বামী গেলেন প্রবাসে, টিকটকারের সঙ্গে পালালেন নববধূ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রবাসী স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নববধূর বিরুদ্ধে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাহ আলমের বড় ভাই মনির হোসেন বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।]

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী মো. শাহ আলম হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইসলামপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ মণ্ডলের মেয়ের। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী শাহ আলম হোসেন স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে মালয়েশিয়ায় চলে যান। প্রবাসে যাওয়ার বাড়ি করার জন্য স্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা পাঠান শাহ আলম।

এদিকে স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে স্ত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের সিহালী গ্রামের টিকটকার ফারুকের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে।

অভিযোগকারী মনির হোসেন বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ওই নববধূ ও তার মা ফরিদা বেগমের (৫০) সঙ্গে বাবার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি। পরে ওই দিন দুপুরে তাকে ফোন করলে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মনির বলেন, “এরপর আমি শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে তার খোঁজ নিই। প্রথমে জানানো হয়, স্ত্রী বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে খালার বাড়ি ঝিনাইদহে গেছে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে ফেরাতে গেলে তারা জানতে পারেন, সে তার বাবার বাড়িতেও নেই।”

বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী স্বামী শাহ আলমের পরিবারের সন্দেহ হয়। তারা ঘরে খোঁজ নিয়ে দেখেন, নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য পাঠানো ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার (নেকলেস, গলার চেইন, হাতের রুলি, কানের দুল ও নাকফুল) নিয়ে রিয়া পালিয়ে গেছে।

ঘটনার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি নববধূর চাচিকে ফোনে বিষয়টি জানানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে হাজির করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন পার হলেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শাহ আলমের বড় ভাই মনির হোসেন বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন জানান, অভিযোগটি পাওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে উদ্ধারের কাজ চলছে।

Link copied!