ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সরকারির ওই কর্মকর্তার প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মানববন্ধনে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদিউজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী সদরপুর শাখার আমির মো. দেলোয়ার হোসেন, বিএনপি যুবদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা তুষার মাহমুদ, সদরপুর উপজেলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রুমন মাতুব্বর, সদরপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসিব সিয়াম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইউএন আল মামুনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বক্তারা বলেন, “সদরপুরে শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভায় এবং সভা শেষে ইউএনও আল মামুন এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি বা কোনো সময়েই বলেননি। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমরা সদরপুরের ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও মৌখিক প্রত্যাহারের আদেশ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করাসহ সত্যতা যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
এর আগে বুধবার ফরিদপুরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সভার আলোচনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল। তিনি বলেন, “সম্প্রতি সদরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও আল মামুন। অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য রাখি। সেখানে দিল্লি না ঢাকার প্রশ্নে বলা হয়েছিল, দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।”
আনিসুর রহমান সজল বলেন, “এরপর ওই ইউএনও আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। ওই সময় তিনি তার অঙ্গ ভঙ্গিতে এবং আমাদের ছলে কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর টুমোরো (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)।”
এসময় সজলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে কথা বলতে শুরু করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই ইউএনওকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদারকে নির্দেশ দেন।
মোখলেসুর রহমান বলেন, “আজকের মধ্যে এই ইউএনও বদলি হবে এবং আমি আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে ফিরে গিয়ে তাকে সাসপেনশন করব। আমি পাবলিক্যালি বলে গেলাম, এত দুঃসাহস? এখনো যারা পরিবর্ধিত সরকারের পেছনে এখনো ইন্ধন জোগাচ্ছে। যদি কোনো পুরুষ বা কোনো পদ-পদবিধারী কেউ এদের পৃষ্ঠপোষকতা করে গোপনে আমাদের সংবাদ দেবেন।”