টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংকের গোবিন্দাসী শাখার সঞ্চয়পত্রের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করেছেন গ্রাহকরা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গোবিন্দাসী এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় গ্রাহকরা প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাংকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে গ্রাহকরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী গ্রাহক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম, মর্জিনা বেগম, আজিজুল, সাহেব উদ্দিন, জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।
ভুক্তভোগী জুলহাস উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত টাকা পাচ্ছি না। এছাড়া সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। টাকা চুরি করার পরও ম্যানেজার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
মর্জিনা বেগম বলেন, “আমরা নিরুপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছি টাকা ফেরতের জন্য। দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া না হলে ব্যাংকের সামনে আমরণ অনশন করা হবে।”
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে গ্রাহকরা টাকা পান সেই বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।”
এর আগে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ব্যাংকের অর্ধশতাধিক গ্রাহক একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
জানা যায়, ২০২০ সালে সোনালী ব্যাংকের গোবিন্দাসী শাখায় ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন শহিদুল ইসলাম। সেখানে তিনি ৩ বছর ২ মাস কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি কৌশলে ব্যাংকের ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা লুজ চেকের (জরুরি উত্তোলনের জন্য একক পাতা) মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন। এছাড়া উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভাতার ৬ লাখ ৮১ টাকাও গায়েব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই মহির উদ্দিন তালুকদার এগ্রো ফার্ম, কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের খালেদা বেগম ও তার বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করেন। টাকা আত্মসাতের অপরাধে ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে।