চতুর্থ দফায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন সিরাজগঞ্জে সবধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টিকিট কাউন্টার বন্ধ পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোর ৬টা থেকে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা, সিরাজগঞ্জ-রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনা রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে।
সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, বিএনপির ডাকা অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এ জন্য কোনো দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়া হচ্ছে না। এতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শহরের এম এ মতিন বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা এসআই পরিবহনের চালক আব্দুল আজিজ বলেন, “এভাবে অবরোধ চললে আমরা বাঁচব কীভাবে। আমাদের তো চাকা না চললে সংসার চলে না। অবরোধে অন্য সব গাড়ি তো ঠিকই চলে। শুধু আমাদের ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে।”
এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। একই সঙ্গে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।