ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যারা সবাই বাংলাদেশি। এদিকে জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, জিম্মি হওয়া জাহাজটিতে ২৫ দিনের মতো খাবার রয়েছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জাহাজটি জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে এ অডিও বার্তা পাঠান জাহাজের এ প্রধান কর্মকর্তা।
আতিকউল্লাহ খান অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের জাহাজে ২০–২৫ দিনের রসদ আছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি আছে। জাহাজে রয়েছে ৫৫ হাজার টন কয়লা।’ রসদ যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায়, সে জন্য অপ্রয়োজনে ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে জানানো হয়েছে।”
এদিকে বাংলাদেশি জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়া নিয়ে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইট ও এক্সে (সাবেক টুইটারে) বার্তা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এ ঘটনা ঘটেছে। দুটি নৌযানে (একটি বড় ও অপরটি ছোট) চড়ে জাহাজটির কাছাকাছি এসে জলদস্যুরা সেটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এর আগে জাহাজটির নাবিক আসিফুর রহমান মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তাতে জলদস্যুরা জাহাজে উঠছে, এমন ভিডিও দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট একটি নৌযান থেকে রশি বেয়ে প্রথমে একজন জলদস্যু জাহাজটিতে ওঠে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজটির নাবিকেরা জাহাজ পরিচালনাকক্ষ থেকে ভিডিও করছেন। এ সময় জাহাজটির এক নাবিককে বলতে শোনা যায়, “স্যার উঠে যাচ্ছে। ওই। ওই। সাথে গান আছে।”
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।