ঢকার সাভারের বাইপেল এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোসাম্মৎ জাকিয়া (৩০) নামের এক গৃহবধূর ডান হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পরকীয়া সন্দেহে তার স্বামী ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কেটে ফেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ফিরোজকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় রা।
জাকিয়া টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর থানার জিকাতলা গ্রামের জামিল মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সাভারের বাইপেল এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি একটি গার্মেন্টসে পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
রোববার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
জাকিয়া বলেন, ‘আমি আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। আমার স্বামী ভেকু গাড়ির চালক। আমাদের সংসারে চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। আমার স্বামী আমাকে নিয়ে প্রায়ই সন্দেহ করে বলত আমার সাথে নাকি অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও গার্মেন্টস থেকে ফিরে রান্না করে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাতে ঘুমের মধ্যে ব্যথার যন্ত্রণায় আমি চিৎকার করি। তখন আমি দেখি আমার স্বামী আমার ডান হাতে কোপ দিয়ে আমার হাতটি বিচ্ছিন্ন করেছে। আমার বাম হাতেও কোপ দিয়েছে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমার স্বামীকে ধরে পুলিশে খবর দেয়, আর আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার শিশু ছেলেটিকে আমি কীভাবে কোলে নেব, আমার তো একটি হাত নাই।’ এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী জোসনা বেগম বলেন, গতকাল গভীর রাতে জাকিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ আমরা ছুটে গিয়ে দেখি জোসনার স্বামী চাপাতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ডান হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জোসনায় বিছানায় কাতরাচ্ছে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার ভোরের দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগের চার নম্বরে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার জোসনা স্বামীকে এলাকার লোকজন আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ ভোরের দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই নারীকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।