সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ শুরু করেছেন মৌয়ালরা। মৌসুমের প্রথম দিনেই সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বন বিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে বনে প্রবেশ করেন তারা।
এর আগে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া এলাকায় মধু আহরণের মধ্য দিয়ে মধু মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলন।
পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে প্রশিক্ষণ শেষে মৌয়ালদের মধু আহরণের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি মৌসুমে পশ্চিম সুন্দরবন থেকে ১ হাজার ৫০০ কুইন্টাল বা ১ লাখ ৫০০ কেজি মধু ও ৪৫০ কুইন্টাল বা ৪৫ হাজার কেজি মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫০ কুইন্টাল বা ৯৫ হাজার কেজি মধু ও ২৮৬ কুইন্টাল বা ২৮ হাজার ৬০০ মোম।
বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, ২০২২ সালে ৪১১টি পাস নিয়ে ২ হাজার ৮৯৮ জন মৌয়াল ১ হাজার ৪৪৯ কুইন্টাল মধু এবং ৩৩৪ দশমিক ৭০ কুইন্টাল মোম আহরণ করেন। এ থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭০০ টাকা।
২০২৩ সালে ৩৬৫টি পাস নিয়ে ২ হাজার ৪৫০ জন মৌয়াল সুন্দরবনের মধু আহরণে যান। তারা সুন্দরবন থেকে ১ হাজার ২২৫ কুইন্টাল মধু ও ৩৬৭ দশমিক পাঁচ কুইন্টাল মোম আহরণ করেন। এ থেকে রাজস্ব আয় হয় ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।
জানা যায়, ১৮৬০ সাল থেকে সুন্দরবনের মধু আহরণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৮৮৬ সাল থেকে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে অনুষ্ঠান করে প্রতিবছর ১ এপ্রিল মধু আহরণ মৌসুম উদ্বোধন করা হয়। বন সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বংশ পরম্পরায় মধু সংগ্রহ করে আসছেন।