নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হাঁটুসমান পানিতে ঘরে থাকা দায় হয়ে গেছে, রান্নাও করতে পারছেন না; তাই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে জেলার আরও নতুন নতুন এলাকায়। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছের ঘের, মুরগি খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজি খেত এবং ঝড়ো বাতাসে ভেঙে গেছে গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকা।
অনেকের বসতঘর ও রান্নাঘরে হাঁটুসমান পানি। পানির কারণে রান্নাও করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। সবকিছু ডুবে থাকায় দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকটও। আশপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে অনেক শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার ২২ লাখ মানুষ। জেলার ৭টি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সব ধরনের গ্রামীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, জলাবদ্ধতা জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জ, সুবর্ণচর ও চাটখিল উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফেনী জেলার পানি নোয়াখালীর সেনবাগ, বেগমগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বেশি ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও পৌর এলাকায় ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “ফেনীর মহুরী নদীর পানি নোয়াখালী ঢুকছে। এরপর নদীর পানি লক্ষ্মীপুর হয়ে নেমে যাবে। পানি এজন্য বাড়বে। মুহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়াতে নোয়াখালীও প্লাবিত হচ্ছে।”
এদিকে জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে অস্বাভাবিক জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় ওই সব এলাকার লোকজন পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয় ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।