লালমনিরহাটে গত ৩ দিনের শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে জেলার ওপর দিয়ে। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে লালমনিরহাটের তুষভান্ডার রেলস্টেশনে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত কারণে মারা গেছেন। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে স্থানীয় হাসপাতালে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে করছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ। বেশি কষ্টে আছেন জেলার তিস্তা ও ধরলা চরের মানুষজন।
তিস্তাচর এলাকার বাসিন্দা ছকিমন বেওয়া বলেন, “টাকার অভাবে কম্বল কিনতে পাইনি। গরিব মানুষ, ঘুম থেকে উঠি আগুন পোয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।”
ভ্যানচালক রশিদুল ইসলাম বলেন, “শীতে মানুষজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। কোনো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সংসার খরচ চালানো কষ্ট হয়ে গেছে।”
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।”
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, “জেলার বিভিন্ন স্থানে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।”