হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মাদ্রাসাশিক্ষক মুখলিছুর রহমানের উপহার দেওয়া গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জে গাড়ি উপহার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে লাইভে এসে গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা বললেও পরে গাড়ি দিতে গড়িমসি করায় হিরো আলম ওই শিক্ষককে মামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষেপে ওঠেন শিক্ষক মুখলিছুর রহমান।
অবশেষে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি পুনরায় লাইভে এসে হিরো আলমকে গাড়ি দেওয়ার কথা এবং হিরো আলম তাকে কল দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপর মঙ্গলবার উপহারের গাড়ি নেন হিরো আলম।
গত মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ এম মুখলেছুর রহমান তার নিজ ফেসবুক আইডি ‘প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমান’ থেকে ঘোষণা দেন তার ব্যবহৃত নোহা গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দেবেন। নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
অনেকেই সেই লাইভে মন্তব্য করেন, নিজেকে ফেসবুকে ভাইরাল করার জন্য তিনি এমন পোস্ট করেছেন। পরদিন রাতে হিরো আলমের সহকারী মুখলিছুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি গাড়ি নষ্ট এবং সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করে গাড়ি দিতে গড়িমসি করেন।
ওই শিক্ষক গত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে আবারও তার ফেসবুক থেকে ঘোষণা দেন- হিরো আলমের সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে আসবেন নোহা গাড়িটি নেওয়ার জন্য।
মুখলিছুর রহমান বলেন, “আমি আমার নোহা গাড়িটি তাকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। আমি সিলেটবাসীকে কলঙ্কিত করব না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে বলছি, ফালতু ওয়াদা আমি করি না। ওয়াদা অনুযায়ী আমি গাড়িটির কাগজপত্র করে চিরতরে তাকে উপহার দেব।”