• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খুলনায় ভারী বর্ষণ, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১১:৩৬ এএম
খুলনায় ভারী বর্ষণ, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। বাতাসের তীব্রতাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধগুলো দুর্বল ও সংস্কারহীন থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রাণহানি এড়াতে খুলনায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বিশেষ করে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছেন, তাদের যাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, কয়রায় ১১৭টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, পাইকগাছায় ৩২টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি ও দিঘলিয়ায় ১৬টি।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের ১৯টি জেলায় আঘাত হানতে পারে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় সিত্রাংয়ের প্রভাব শুরু হয়েছে। ভোররাত ৩টা থেকে উপকূল এলাকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

Link copied!