দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকলেও ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের জনজীবন। ঠান্ডায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও ক্ষেতে কাজ করছেন নিম্নে আয়ের মানুষ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কয়েক ঘণ্টার জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোববার (১০ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকাল ৩টার দিকেও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
অটোরিকশাচালক রমজান আলী বলেন, “পেটের দায়ে অটো নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু এই ঠান্ডার মধ্যে যাত্রী পাচ্ছি না।”
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। দুদিন ধরে প্রচুর শীত পড়ছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়ছে। জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত শীতবস্ত্রে জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, “দুদিন ধরে অতিরিক্ত শীত পড়েছে। এমন অবস্থা কয়েকদিন থাকলে মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান তিনি।