প্রতিদিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম নিলে বেহেশত নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামরুল হুদা বলেন, “একটা দল যারা বেহেশতের সার্টিফিকেট দেয়। বেহেশতের সার্টিফিকেট প্রতিনিয়ত বিক্রি করে। দেখবেন যে, প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় কিছু হুজুররা আসে, আয়োজন করে আর আয়োজকদের একটা করে বেহেশতের সার্টিফিকেট দেয়। এই বেহেশতের সার্টিফিকেট দাতাদের থেকে আমাদের একটু সাবধান হতে হবে।”
তিনি বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম নিলে প্রতিদিন, বেহেশত নিশ্চিত। আমি বিশ্বাস করি। কারণ উনি দেশের জনগণের সঙ্গে হঠকারিতা করেননি। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেননি। দেশের মাটির সাথে উনি প্রতারণা করেননি। দেশের জনগণের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছেন। দেশকে পুনর্গঠন করেছেন, পুননির্মাণ করেছেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছেন। সুতরাং উনার নাম জপলে বরং বেহেশতে যেতে পারবেন।”
সবাইকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এদেরকে ভোট দিলেও নাকি আমাদের বেহেশত নিশ্চিত হবে। এদেরকে ভোট দিতে হবে, তাহলে নাকি বেহেশত নিশ্চিত হবে। সুতরাং ‘বেহেশতিদের’ থেকে নিজেদের একটু সাবধান রাখবেন।”
এমন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বক্তব্যের এই অংশ বিশেষ প্রচার হচ্ছে। তবে একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমানের প্রতি উপলব্ধি হিসেবে আমি এই বক্তব্য দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে বেশ কিছু নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। যার জন্য এখনো উনি দোয়া পাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল দুটি ভিত্তি গার্মেন্টস ও প্রবাসী কর্মসংস্থান থেকে রেমিটেন্স আয়, এসব জিয়াউর রহমানের এই অবদান। তাই আমার উপলব্ধি থেকে আমি এ কথা বলেছি।”