ফেনীর সোনাগাজীতে চেক প্রতারণার মামলায় পাঁচ মাসের সাজা পাওয়া আসামি শেখ ফারুক (৫০) চার বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে সোনাগাজী পৌরসভার চর গণেশ এলাকার একটি বাড়ি থেকে শেখ ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
শেখ ফারুক তিন লাখ টাকার চেক প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ মাসের সাজা পেয়েছিলেন। সেই সাজা থেকে বাঁচতে চার বছর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পালিয়ে ছিলেন।
তিনি সোনাগাজী পৌরসভার চর গণেশ এলাকার বাসিন্দা এবং শেখ জামশেদ আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে শেখ ফারুকের বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ ও চেক প্রতারণার অভিযোগে ফেনীর আদালতে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় শেখ ফারুককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত শেখ ফারুককে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জুয়েল সরকার বলেন, ফেনীর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর শেখ ফারুকের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক দিন আগে তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। চর গণেশ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের মাধ্যমে শেখ ফারুককে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হবে।