রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো এবং ঈগল প্রতীককে কাউয়া-বাদুড় বলে ব্যঙ্গ করার পর আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দারার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে দারা ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌসের আদালতে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
লিখিত জবাবে নৌকার প্রার্থী দারা বলেছেন, “রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান যে অভিযোগ করেছেন তা বিদ্বেষ প্রসূত বটে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার দলের নেতাকর্মী যারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মে লিপ্ত আছেন তাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কী ধরনের নির্দেশনা আছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম। কোনো ভোটারকে ভয়ভীতি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপদস্ত করার উদ্দেশ্যে কখনো কোনো অশালীন, অশোভনীয় বা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করিনি। তারপরেও আমার বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে আমি দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
দারার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, আদালত দারার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। তবে আগামীতে যাতে কোনোভাবেই আচরণবিধি ভঙ্গ না হয়, সে বিষয়েও সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীককে কাউয়া, বাদুড় বলে ব্যঙ্গ করা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের হুমকির অভিযোগে নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে শোকজ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ওই আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস এ নির্দেশ দেন।