প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে সব ধরণের যানবাহন ও সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
সোমবার (১৫ এএপ্রিল) সকাল থেকে ভোলার ইলিশাঘাটে যাত্রীদের ভয়াবহ চাপ দেখা যায়। এসময় নৌযান সংকটের কারণে অনেক যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা যায়।
জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-ঢাকা রুট। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে। তবে ঈদের সময় সেই সংখ্যা বহুগুনে বেড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও বেড়েছে যাত্রী চাপ। ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশা ও ফেনী লঞ্চঘাটে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। কেউ লঞ্চে কেউ সি-ট্রাকে কেউবা ফেরিতে রওনা দিচ্ছে। আবার কেউ অবৈধ স্পিডবোট, ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
যাত্রী আবুল কালাম, মোস্তফা ও শিরিনা বেগম বলেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। যাবেন চট্টগ্রাম। কিন্তু ঘাটে অতিরিক্ত চাপ থাকায় বসে অপেক্ষা করছেন।
রহমত উল্ল্যাহ ও জাকির হোসেন নামের অপর দুই যাত্রী বলেন, এভাবে অতিরিক্ত যাত্রী হলে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও মানুষ বাধ্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ সবাই চান কর্মস্থলে যাওয়ার।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে মনিটরিং চলছে। কেউ যাতে অবৈধ নৌযানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পারাপার করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মনিটরিং করবেন। ঈদে ঘরে ফেরা এবং কর্মস্থলমুখী মাষুষের দুর্ভোগ লাগবে প্রশাসন কাজ করছে।