বরিশালে প্রায় ২৬ লাখ নগদ টাকা, ১০ হাজার ডলার ও প্রায় এক কেজি সোনার গয়নাসহ মো. হারুন অর রশিদ নামের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের এক প্রকৌশলী আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যান
মো. হারুন অর রশিদ পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক প্রকৌশলী এই টাকার সঠিক পরিমাণ ও উৎসের প্রমাণ দিতে পারেননি। তাকে পটুয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সোমা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি তাকে (হারুন) গ্রহণের জন্য বরিশালে পৌঁছেছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পিতবার নগরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কালো রঙের একটি প্রাইভেট কারে করে পটুয়াখালী থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ। বিকেলে বরিশাল নগরের চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা গাড়িটি থামান। পরে গাড়িটি তল্লাশি করে নগদ টাকা, ডলার ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
আটক হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে যে টাকা এগুলো তাঁর স্ত্রীর জমি বিক্রি করা ১২ লাখ এবং অসুস্থ শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর অর্জিত টাকা।