• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হনুমানের দল


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হনুমানের দল

প্রায় ২৫ দিন ধরে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ থেকে ২৫টি মুখপোড়া হনুমান দল বেধে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এসব হনুমান কখনো বাসাবাড়ির ছাদে, গাছের ডগায়, কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার কখনোবা হাট-বাজারে দল বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বাচ্চাসহ বিলুপ্ত প্রায় হনুমানের দলকে উপজেলার টেংরামারী বাজার এলাকায় দেখা গেছে। 

হনুমানের দল দেখে আনন্দে তাদের পিছু ছুটতে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের। এই আনন্দ থেকে বাদ পড়ছেন না বৃদ্ধরাও। কেউবা আবার হনুমান দেখে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন রুটি, কলা ও বিস্কুট নিয়ে।

উপজেলার জলকর রোহিতা এলাকার স্কুলছাত্র অনিরুদ্ধ দাস জানায়, কয়েক দিন ধরে হনুমানের দল তাদের বাড়ির পাশে বাগানে গাছে গাছে ঝুলেছে। তখন পাড়ার সবাই দল বেধে ওদের দেখতে এসেছে। মুখপোড়া হনুমান দলের পুরোনো আবাসস্থল যশোরের কেশবপুরে। সরকারিভাবে সেখানে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। রীতিমতো খাবার না পেয়ে প্রায়ই দল বেধে আশপাশের উপজেলায় লোকালয়ে ঢুকে পড়তে দেখা যায় হনুমানের দলকে।

টেংরামারী বাজারের ব্যবসায়ী নূর হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমাদের বাজারে ১০-১২টা হনুমান ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেশবপুর এলাকায় বৃষ্টির পানি উঠে গেছে। সেখানে টিকতে না পেরে খাবারের অভাবে হনুমানের দল গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এদিকে হনুমান দেখে অনেকে আনন্দ পেলেও এই দলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অনেকে। হনুমান গাছের ফল, মাঠের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের।”

মামুদকাটি গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, “কয়েক দিন আগে হনুমানের দল আমার বাড়ির আশপাশে অবস্থায় নেয়। বাড়ির গাছে কয়েকটা ডালিম ও পেয়ারাসহ অন্যান্য ফল ছিল। ওরা গাছে উঠে ডালপালা ভেঙে সব ফল নষ্ট করে দেছে। অনেকের গাছের আমড়া, লেবু খেয়ে সাবাড় করে দেচ্ছে।”

মুখপোড়া হনুমান দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেশবপুরে ছোট-বড় প্রায় ৩৫০ হনুমান আছে। সরকারিভাবে মাসিক তাদের খাবারের জন্য ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ। নিয়মিত তাদের বরাদ্দের খাবার কলা, পাউরুটি ও সবজি দেওয়া হচ্ছে।

হাবিবুজ্জামান আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হনুমান আটকে রাখা যায় না। চারদিকে পানি উঠে যাওয়ায় এখন ওরা শুকনো এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।

Link copied!