খাবারের খোঁজে ফরিদপুর শহরে বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে দলছুট এক হনুমান। বেশকিছু দিন ধরে দোকানের ছাউনি, গাছের ডালে, দেয়াল কিংবা সড়কে দেখা মিলেছে হনুমানটির। কেউ কেউ খাবার কিনে দিয়ে পরম মমতায় খাওয়াচ্ছেন। কেউবা এক নজর দেখতে ও সখ্যতা গড়তে ভিড় জমাচ্ছেন হনুমানটির আশেপাশে। তবে হনুমানটি কোথা থেকে এবং কীভাবে এই এলাকায় এসেছে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে হনুমানটিকে দেখা যায় ফরিদপুর শহরের স্টেশন বাজারের পাশের সিটি কলেজের সীমানা প্রাচীরের ওপর। সেখানে মকবুল আহমেদ রনি নামের এক ফল ব্যবসায়ী হনুমানটিকে কলা রুটি খাওয়াচ্ছেন। এসময় পথচারীরা একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। কেউবা মোবাইল ফোনে ছবি, কেউবা সেলফি তুলছেন হনুমানটির সঙ্গে।
এসময় ফল ব্যবসায়ী মকবুল আহমেদ রনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে হনুমানটি স্টেশন বাজারে এলে আমি রুটি কলা খাওয়াই। খুব নিরীহ। মানুষ খুব কাছাকাছি গেলেও ভয় পায় না হনুমানটি। তাই মানুষও খুব কাছাকাছি গিয়ে সখ্যতা গড়তে চেষ্টা করছে হনুমানটির সঙ্গে।“ তবে কাউকে ভয় দেখায় না বলে জানান এ ফল ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মুখপোড়া এই হনুমানটি ফরিদপুর শহর ও আশেপাশের বিভিন্ন মহল্লায় ঘোরাফেরা করছে। হনুমানটি কখনো গাছে, আবার কখনো মানুষের মাঝে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই লোকালয়ে আসা হনুমানটির ছোটাছুটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। তবে প্রাণের ভয়ে বারবার নিজের স্থান পরিবর্তন করছে হনুমানটি।
ফরিদপুর বন বিভাগ জানায়, যশোরের কলাবাহী ট্রাকে করে হনুমানটি ফরিদপুরে আসতে পারে। হনুমান খুবই নিরীহ প্রকৃতির। মানুষকে আক্রমণ করার আশঙ্কা নেই। তবে এদের বিরক্ত করা উচিত নয়। এক সময় খুলনা-যশোর অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো (মুখ কালো) বড় প্রজাতির হনুমান দেখা যেত। তবে তা খাদ্যাভাবে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। এ কালোমুখো প্রজাতির হনুমান অনেকটা বিলুপ্তির পথে।