ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গভীর রাত থেকে মোংলায় দমকা হাওয়া ও টানা বর্ষণ শুরু হয়েছে। জনমনে তেমন আতঙ্ক না থাকলেও খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে রাস্তা ঘাট প্রায় জনমানব শূন্য বলা চলে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানার সম্পর্কে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেছে মোংলা বন্দর ও পৌর কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উপকূলীয় মানুষের জানমাল রক্ষায় ১০৩টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবাইকে আশ্রয়ণে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সিপিপির প্রায় ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় মোংলা উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার কন্ট্রোল সুপারভাইজার নোমান বলেন, জাহাজ আগমন নির্গমনসহ পণ্য ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে অবস্থানরত সকল লাইটার জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।