লালমনিরহাটে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমলেও পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও তিস্তাতীরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর ডালিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। গেল বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের বেশ কিছু বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করে। তবে এখন এসব বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ কাউনিয়াতে বেশি থাকলেও ডালিয়া পয়েন্টে কম রয়েছে। মূলত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমে যাবে। এ নিয়ে চরাঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, প্লাবিত অঞ্চলে বিগত বন্যায় শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলছে।