দাদার ইচ্ছা পূরণ, হেলিকপ্টারে নাতির বিয়ে


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
দাদার ইচ্ছা পূরণ, হেলিকপ্টারে নাতির বিয়ে

পাবনার সুজানগরে সত্তোর্ধ দাদা জবানী সরদারের ইচ্ছা পূরণে তার ছোট নাতী আশিকুর রহমান পাপ্পু হেলিকপ্টারে বিয়ে করে বউ নিয়ে এসে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। ছোটবেলা থেকে নাতিকে বিয়ে দিয়ে হেলিকপ্টারে নাতি ও নাত বউ আনার দৃশ্য জীবিত থেকে তিনি দেখে যেতে চেয়েছিলেন। 
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দাদার সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে বিয়ে করেন আশিকুর রহমান পাপ্পু।

আশিকুর রহমান পাপ্পু পাবনার সুজানগর পৌর সদরের চর সুজানগর মহল্লার ফজলুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর কনে নুসরাত জাহান জীম ঢাকার গাজিপুরের বাসিন্দা টুটুল শেখের মেয়ে। তিনি একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে হাজির হন বর আশিকুর রহমান পাপ্পু। এ সময় তাদের সঙ্গে দাদা জবানী সরদারসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছিলেন।

হেলিকপ্টারে নতুন বউ আসছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাদের আত্মীয়-স্বজন, নারী-শিশুসহ নানা বয়সী উৎসুক মানুষ আগে থেকেই ভিড় জমান বিদ্যালয় মাঠে। বর-কনে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন বর পক্ষের স্বজনরা। পরে তাদের মাইক্রোবাসে করে বাড়িতে নেওয়া হয়।

ছেলের চাচা পাবনা পৌর এলাকার চর সুজানগর মহল্লার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, “৬-৭ মাস আগে আমার ভাতিজা পাপ্পুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ে তাদের বাড়িতেই ছিল। শুক্রবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। হেলিকপ্টারে করে বউ আনার বিষয়ে আমরা খুব আনন্দিত।”

এক প্রতিক্রিয়ায় বর আশিকুর রহমান পাপ্পু বলেন, “আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার দাদার খুব ইচ্ছা যে আমি যেন হেলিকপ্টারে বউ নিয়ে আসি। তার সেই শখ পূরণ করতেই মুলত এই আয়োজন। দাদার ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। হেলিকপ্টারে দাদাও আমার সঙ্গে ছিলেন। পরিবারের সবার সম্মতিও ছিল হেলিকপ্টারে বিয়ে করার। সবমিলিয়ে খুব আনন্দ হয়েছে।”

আশিকুর রহমান পাপ্পুর দাদা জবানী সরদার বলেন, “পাপ্পু যখন ছোট ছিল তখন থেকেই বলতাম তুই বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনবি। আমার নাতী বউয়ের বাড়িও ঢাকা। চিন্তা করলাম হেলিকপ্টারে তো নিয়ে আসা যায়। নাতী বউয়ের সঙ্গে আলাপ করলাম তোকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসব। শুনে সেও খুব খুশি হয়। এভাবেই হেলিকপ্টারে নাতী ও তার বউকে নিয়ে আসলাম। নিজের শখ পূরণ হওয়ায় আমি খুব উচ্ছ্বাসিত।”

Link copied!