• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

শার্শায় কচুর মুখির জমজমাট হাট


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
শার্শায় কচুর মুখির জমজমাট হাট

যশোর জেলার সবচেয়ে বড় ও পাইকারি মুখিকচুর বা কচুর মুখির হাট শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাসাবাড়ি। এই হাটে প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার মুখিকচু বিক্রি করেন কৃষকরা। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য তারা সরাসরি হাটে তোলেন।

পাইকারি দামে বিক্রি করেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। এখানকার টাটকা কচু ঢাকা রংপুর রাজশাহী সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়।

সোমবার (১ জুলাই) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, বাসাবাড়ি বাজারের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব পশ্চিম দিকে রাস্তার দুই ধারা কৃষকরা সরাসরি বস্তায় তাদের চাষের কচু নিয়ে বসে আছেন। দরদামে মিললেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

কচু বিক্রি করতে আসা নজরুল ইসলাম নামে কৃষক জানান, উপজেলার সেরা কচু বিক্রির হাট এটি। এখানে ভালো দামে কচু বিক্রি করতে পারেন। কৃষকরা সরাসরি পাইকারি দামে কচু বিক্রি করে ভালো লাভবান হন। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।  

আরেক চাষি আবু তালেব জানান, “ঝিকরগাছা থেকে কচু বিক্রি করতে আসছি। বাসাবাড়ি হাটে বাইরের পার্টি থাকে এবং প্রচুর চাহিদা থাকে।”

ব্যবসায়ীরা জানান, সরাসরি কৃষকদের বাছাইকৃত কচু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এই হাটে উপজেলার সকল এলাকার চাষিরা কচু বিক্রি করতে আসেন বিধায় দেখে শুনে কচু ক্রয় করা সম্ভব হয়। সতেজ ও টাটকা কচুর জমজমাট পরিস্থিতি বিরাজ করে যার ফলে প্রতিনিয়ত এই হাট থেকে ঢাকাসহ রাজশাহী রংপুর দিনাজপুর পাঠানো হয়ে থাকে।

বাবু মিয়া নামের একজন কচুর ব্যবসায়ী (স্থায়ীয় আড়ৎদার) জানান, কৃষকরা সরাসরি জমির কচু খেত থেকে তোলার পরই এই হাটে নিয়ে আসেন। একদিকে কৃষকরা যেমন বিক্রি করতে নির্দিষ্ট একটি জায়গা বা স্থান পেয়েছেন তেমনি কচুর ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন গ্রেডের কচু বাছাই করে সংগ্রহ করতে পারছেন। এতে চাষি ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, কৃষকের ভাগ্য বদলে কাজ করছে বাসাবাড়ি পাইকারি মুখি কচুর হাটটি। ইউনিয়নে এমন একটি হাটের ফলে নিজামপুর, ডিহি, লক্ষণপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নসহ পাশের ঝিকরগাছা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকরা সরাসরি পাইকারি বাজারে কচু বিক্রি করতে পারছেন।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, মুখিকচু একটি লাভজনক চাষ। উপজেলা জুড়ে শার্শায় মোট ১৮০ হেক্টর জমিতে মুখিকচুর চাষ হচ্ছে তাছাড়া আশাবাদী আগামীতে এই উপজেলাতে আরও ব্যাপকভাবে মুখি কচুর চাষ বৃদ্ধি পাবে।

Link copied!