দুই দিনের ব্যবধানে পাবনায় ফের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার জেলার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে চুরির ঘটনা জানতে পারেন এলাকাবাসী। তাদের ধারণা রোববার (৯ জুন) রাতের কোনো এক সময় এসব কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভোরে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে প্রথম কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। সেই কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও হয়েছিল। সে ঘটনার এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন বা জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন, আরিফ হোসেন জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পাশ দিয়ে তিলের জমিতে যাচ্ছিলেন এক কৃষক। এ সময় তিনি কবরস্থানে তাকালে কবরের উপরে বাঁশের চাটাই সরানো ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তিনি কবরস্থানের ভেতরে গিয়ে দেখতে পান ৫টি কবর খোঁড়া, ভেতরে মরদেহের কোনো কিছু নেই। কবরগুলো অনেকদিনের পুরোনো।
এ বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিনচু বলেন, “এর আগে দুই জায়গায় কবর থেকে মরদেহ চুরি হয়েছে। এবার আমার এলাকায় একই ঘটনা ঘটল। এক থেকে দেড় বছর আগে মারা যাওয়া মানুষের কঙ্কাল চুরি হচ্ছে। কারা কী কারণে একের পর এক কঙ্কাল চুরি করছে বুঝতে পারছি না। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমি পুলিশ ও ইউএনওকে জানিয়েছি। প্রশাসনের কঠোরভাবে এ বিষয়টি তদন্ত করা উচিত।”
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ কবরস্থান পরিদর্শন করেছে। কিছু কবর আংশিক খুঁড়েছে, কোনোটা সম্পূর্ণ খুঁড়েছে। এটা অমানবিক কাজ। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরও এই চক্রকে ধরতে চেষ্টা চলছে।”
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি খবর পেয়েছি। কবরস্থান থেকে কেন এভাবে কঙ্কাল চুরি হচ্ছে, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।”