নরসিংদীর পলাশে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রেমিকা নিহতের ঘটনায় জাহাঙ্গীর (২৫) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২ জুন) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এই আদেশ দেন।
নিহত রিতা বেগম (৩৩) কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কবির মিয়ার মেয়ে এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর (২৫) একই জেলার পাকুন্দিয়া এলাকার উসমান গনির ছেলে। রিতা পলাশ উপজেলার তাঁরাগও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং জাহাঙ্গীর ঢাকার কেরানীগঞ্জে কাজ করতেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত রিতা বেগম পলাশ উপজেলার তারাগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই জেলার হওয়ার কারণে ৩৩ বছরের রিতা সঙ্গে ২৫ বছরের জাহাঙ্গীরের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের প্রায়ই দেখা হতো। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর রিতার সঙ্গে দেখা করতে ব্র্যাক অফিসের আসেন জাহাঙ্গীর। অফিস বন্ধ থাকায় ওইদিন সারা রাত অফিসে গোপনে সময় কাটান তারা।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, রাত্রিযাপনের পর সকালে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করার কথা বললে অফিসের গেস্ট রুমে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান জাহাঙ্গীর। পরে রিতাকে স্থানীয় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাজুমিয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম বলেন, “মাত্র ৭ কার্যদিবসে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের উপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।”