মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তারকে (২২) গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শাহিদাকে হত্যা করেন তৌহিদ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে ভোলার ইলিশা এলাকা থেকে তৌহিদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তৌহিদ শেখ রাজধানী ঢাকার ওয়ারীর বর্ণগ্রাম এলাকার প্রয়াত শফিক শাহর ছেলে।
শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ির বরিবয়ান এলাকার আবদুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি ঢাকার ওয়ারী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে শাহিদা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। তার শরীরে আটটি গুলির ছিদ্র ছিল।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত তরুণীর মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি করেন। পরে গতকাল রোববার সকালে ওই মামলায় একমাত্র নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয় তৌহিদকে।
মুন্সিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারের পরে তৌহিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অস্ত্র দিয়ে শাহিদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পিস্তলটি গত ৫ আগস্ট ওয়ারী থানা থেকে লুট করেছিলেন তৌহিদ।
এসআই মো. আজাদ বলেন, তৌহিদের সঙ্গে শাহিদার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে তৌহিদ অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি শাহিদা জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। শুক্রবার রাতে শাহিদাকে ওয়ারীর বাড়ি থেকে মাওয়ায় ইলিশ খাওয়ার কথা বলে ডেকে আনেন তৌহিদ। শাহিদাকে নিয়ে তিনি রাতভর এক্সপ্রেসওয়েতে ঘোরাঘুরি করেন। শনিবার ভোরে তারা শ্রীনগর দোগাছি এলাকায় হাঁটাহাঁটি করেন। এ সময় শাহিদা কথা প্রসঙ্গে তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। তৌহিদ বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তৌহিদ পিস্তল দিয়ে শাহিদাকে গুলি করেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান।