ঘটনাটি রাজশাহীর একটি গ্রামের। শীতের রাত। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। এই সুযোগে বিয়ের কথা বলে প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। পরে ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের লোকজন বুঝতে পেরে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই ছাত্র।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের সেই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রাতেই থানায় মামলা করেন। মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার পরদিন মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ জানায়, নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই শ্রেণির এক ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে সোমবার রাতে ওই ছাত্র তার প্রেমিকাকে কৌশলে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। আশপাশের লোকজন বুঝতে পেরে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই ছাত্র। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে সোপর্দ করেন।
পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ওই ছাত্রকে প্রধান আসামি করে সোমবার রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল খালেক বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত স্কুলছাত্রকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।”