পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে তার স্বামী নাঈম হোসেনের গত ২১ জুন ইন্দুরহাট কাজী অফিসে গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিয়ের দাবিতে একই উপজেলার সারেঙ্গকাঠী ইউনিয়নের গোবিন্দগুহকাঠী গ্রামের প্রেমিক কাউসারের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন ওই তরুণী। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে যে কাজী দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করা হয়েছিল তাকে দিয়েই প্রেমিক কাউসারের সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হয়। আর তখন থেকে কাউসারের বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।
স্থানীয় সারেঙ্গকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই চাঁন মিয়া বলেন, “তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজী এনে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি। শুনেছি তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের বৈধতা দিতেই প্রাথমিকভাবে সামাজিক স্বীকৃতি আদায়ের ব্যবস্থা করেছি মাত্র।“
এ বিষয়ে ওই তরুণীর সাবেক স্বামী নাঈম হোসেন বলেন, “আমার সঙ্গে স্ত্রী সংসার করতে চায় না বলে একাধিকবার সংসারে অশান্তি হয়েছে। মাঝেমধ্যে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে আসত না সে। আমি আর ঝামেলায় যেতে চাই না বলে তার কথায় রাজি হয়েছি।”
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ওই তরুণী বলেন, “আমার সঙ্গে কাউসারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমরা উকিলের মাধ্যমে নোটারি করে বিয়ে করেছি।”
এ বিষয়ে কাজী ইউসুফ জানান, নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে বৈধভাবে পুনরায় বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। এলাকাবাসীর অনুরোধে শুধু বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি যাতে তারা সাময়িকভাবে একসঙ্গে বসবাস করতে পারেন।
নেছারাবাদের পাটিকেলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, “মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”