কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। পরে ধষর্ণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিক হুমায়ুন আহমেদ (৪১) ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হুমায়ুন আহমেদ (৪১) উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের শিমুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম মৌসুমী বেগম (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর বয়স ১৯ বছর। হুমায়ুন থাকেন দুবাইয়ে। মোবাইল ফোনে তাদের পরিচয় হয়। কথাবার্তা থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দেশে ফিরে বিয়ে করার আশ্বাস দেন হুমায়ুন। তিন মাস আগে দেশে ফেরেন হুমায়ুন। পরে বিয়ের কথা বললেও তাতে সাড়া দেননি তিনি। একপর্যায়ে জানা যায়, হুমায়ুন বিবাহিত। তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এ নিয়ে হুমায়ুনের সঙ্গে মেয়েটির ঝগড়া ও মনোমালিন্য হয়।
এজাহারের আরও উল্লেখ করা হয়, ৩ অক্টোবর হুমায়ুন দেখা করার অনুরোধ করলে ওই তরুণী ভৈরব পৌরসভার কাছে যান। এরপর সেখানকার একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরে বিয়ে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কয়েক দিন পর হুমায়ুন আবার মেয়েটিকে দেখা করতে বলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ভিডিও ও ছবি মেয়েটির স্বজনদের পাঠিয়ে সম্মানহানি করেন।
মামলার বাদী বলেন, “হুমায়ুন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে ক্ষান্ত হয়নি। ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে। আর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে হুমায়ুনের স্ত্রীরও হাত আছে।”
তবে পুলিশি হেফাজতে থাকা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, “কে ভিডিও করেছে এবং কারা ছড়িয়েছে—কোনোটি আমার জানা নেই।”
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহিন মিয়া বলেন, র্যাবের সহযোগিতায় শিমুলকান্দি গ্রাম থেকে মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।