সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের ১২টি পয়েন্টে । এতে ভাঙছে সড়ক। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) হঠাৎ এই ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৮টি পয়েন্টে নতুন করে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে জানান, শুক্রবার (৪ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। আপাতত জিও ব্যাগের বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে মেরিন ড্রাইভের জন্য বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে আরও কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তা না হলে সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে জনদুর্ভোগ বাড়ার আশস্কা রয়েছে।
আবুল কাশেম নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, “এর আগে কখনো এভাবে ভাঙন ধরেনি মেরিন ড্রাইভে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ঢেউ বড় হয়ে এসে আঁচড়ে পড়ছে মেরিন ড্রাইভে। জিও ব্যাগ টপকে ঢেউগুলো সড়কে ওঠায় সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। এই মেরিন ড্রাইভ আমাদের উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য স্বপ্নের একটি সড়ক। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই মেরিন ড্রাইভের কারণে আকৃষ্ট হয়।”
মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু ভাঙন কবলিত এলাকা দেখে অনেকটা হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।
ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, “আমরা প্রথমে আসছিলাম কক্সবাজারে। পরে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য দেখার জন্য আসলাম কিন্তু এখানে এসে দেখি রাস্তা ভাঙা।”