ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় গৃহবধূকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন দুপুর ভাঙ্গা থানায় পাঁচজনের নামে গণধর্ষণের মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আউড়াকান্দা গ্রামের এজাহার মাতবরের ছেলে সাইদুল মাতবর, আইয়ুব মাতবরের ছেলে ফরিদ মাতবরের, পাঁচু মাতবরের ছেলে সাদ্দাম মাতবর ও নগরকান্দা উপজেলার ঝাটুকদিয়া গ্রামের ইলু খানের ছেলে নাসির খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থেকে ইজিবাইকে ভাঙ্গায় ফুফুর বাড়ি আসছিলেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর পাঁচ বখাটে তাকে জোর করে রাস্তার পাশের সরিষা ক্ষেতে নিয়ে যায়। এরপর ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
পরদিন (৩১ জানুয়ারি) সকালে জ্ঞান ফিরলে ওই গৃহবধূ সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় স্বামীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে চলে যান। পরদিন (১ ফেব্রুয়ারি) ফুফুর বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা গ্রামে এসে ফুফুকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন। এরপর ফুফু ওই গৃহবধূর স্বামীকে বিস্তারিত খুলে বলেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য একজনকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।