• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
ফেনীতে চার হাজার পরিবার পানিবন্দী। ছবি : সংগৃহীত

ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এবার সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

বন্যায় দুই উপজেলার অন্তত চার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি।

বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মোট ১০টি অংশে ভাঙনের তথ্য পাওয়া গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে প্রবেশ করা পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া গত দুইদিনে মুহুরি-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দশটি স্থানে ভাঙন হয়েছে। তার মধ্যে ফুলগাজীর দৌলতপুর ও পরশুরামের দক্ষিণ শালধরের দুটি স্থানে ভাঙনের মাত্রা বেশি।

মালিপাথর গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ হাসিনা বেগম বলেন, ঘরে পানি থাকায় চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না। বৃদ্ধ-শিশু সবাইকে নিয়ে দুদিন ধরে শুকনো খাবার খাচ্ছি। পানি নামতে আরও সময় লাগতে পারে। এখনো কেউ ত্রাণ পাইনি।

পরশুরামের শালধর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, স্কুলে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পানির মধ্য দিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অন্তত পানি কমা পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করলে আমাদের জন্য উপকার হতো।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। এছাড়া পানি কমলে ভাঙন স্থলের মেরামত কাজ শুরু হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নে ৮টি, দরবারপুরে ৩টি, আমজাদহাটে ৫টি ও মুন্সিরহাটে ৫টিসহ মোট ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, মুহুরি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

Link copied!