যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার সংযোগ সড়কটি ভেসে গেছে। এতে চার গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাটি ভেসে যায়। পরে মুহূর্তেই আশপাশের এলাকায় পানি প্রবেশ করে। রাস্তাটির ভাঙন দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
এদিকে, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে কষ্টাপাড়া, গোবিন্দাসী, স্থলকাশি, রুহুলী, কয়েড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। এতে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে কয়েড়া এলাকার পুঁইশাক, ঢেঁড়শ, কাঁচা মরিচ, ধুন্দুল, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বন্যায় পানির চাপের কারণে সড়কের ভালকুটিয়া এলাকায় ৩০ মিটারের মতো ভেঙে যায়। এতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচল। পাশেই রয়েছে কোনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এখান দিয়ে চলাচল করা শিক্ষার্থী ও অন্যান্যরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে সড়কটির ভেঙে যাওয়া অংশের পাশেই রয়েছে বিদ্যুতের ৩টি ট্রান্সফরমার। যেকোনো মুহূর্তে সেগুলো ভেঙে পানিতে পড়ে যাওয়া শঙ্কা রয়েছে।
ভালকুটিয়া গ্রামের মুহাইমিনুল ইসলাম হৃদয় বলেন, অতিরিক্ত পানির চাপে সড়কটি ভেঙে গেছে। তাদের একমাত্র চলাচলের সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, “বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় স্থলকাশি চিতুলিয়া পাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকার লোকজনের ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এটিই আমাদের কয়েক এলাকার যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। সড়কটি দিয়ে লোকজন যেন চলাচল করতে সেজন্য বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, “গোবিন্দাসী ভালকুটিয়া গ্রামের সড়কটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙনের কারণে কয়েক এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অতি দ্রুত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”