মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় নিহত ৫ জনের নাম-পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের।
নিহতরা হলেন রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) এবং রাজধানী জুরাইনের বাসিন্দা সোহান মিয়ার ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), শাশুড়ি আমেনা বেগম (৪৫), শ্যালিকা ইসরাত জাহান (২৬) ও রিয়া মনি (১১)। সোহান মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
আহতরা হলেন নিহত আমেনা বেগমের মেয়ে অনামিকা আক্তার (২৪), কদমতলীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (২৮) ও তার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার (১৭)।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাইভেটকার করে রাজধানী জুরাইন থেকে সোহান মিয়া স্ত্রী সন্তানসহ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের উদ্দেশে মাওয়ামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে বেপরোয়া একটি যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাইক আরোহী সুমন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) মারা যায়।
সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত আরও ৮ জনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সোহান মিয়ার ছেলে আইয়াজ হোসেন, শাশুড়ি আমেনা বেগম, শ্যালিকা ইসরাত জাহান ও রিয়া মনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়াগামী প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে বেপারী পরিবহনের বেপরোয়া গতির বাসটি প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার এই দুর্ঘটনায় যানবাহনগুলো সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে। সোহান মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলেন। গত ৬ দিনে এক্সপ্রেসওয়েতে ৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, বেলা ১১টার দিকে সেতুর টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল। তখন ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস থেমে থাকা তিনটি যানবাহনকে চাপা দেয়। বাসের সামনে থাকা প্রাইভেট কারটি বাস ও মাইক্রোর মাঝখানে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।