টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমা ১৯ জনের মৃত্যু হলো।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, শনিবার রাত পর্যন্ত আরো চারজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণ করা চারজনই ইজতেমায় আগত মুসল্লি বা তাবলিগের সাথী। এবারের ইজতেমায় আগতদের মধ্যে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মাঠের বাইরে ইজতেমার কাজসংশ্লিষ্ট ও ইজতেমায় আসার পথে পুলিশ কর্মকর্তা ৬ জনসহ মোট ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মো. আলম, নরসিংদীর মো. শাহনেওয়াজ ভুঁইয়া ও সিরাজগঞ্জের আল মাহমুদ। শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার সামানদার গ্রামের আব্দুল কাদের (৫৫), নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লি হলেন নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের মতিউর রহমান (৬০)।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)।
বাকি চার জনের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি।