চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এম জেড এ শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাত্রীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার আড়ালে অবৈধভাবে আনা সোনা ভিআইপি চ্যানেল দিয়ে বের করে তা চোরাচালান চক্রের কাছে পৌঁছে দিতেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটের যাত্রীর মাধ্যমে আসা চার সোনার বার ভিআইপি চ্যানেল দিয়ে পার করে দেওয়ার সময় তল্লাশি করা হলে তার প্যান্টের পকেট থেকে জব্দ করা হয়।
শুল্ক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডা. এম জেড এ শরীফকে নজরদারিতে রাখেন তারা।
অভিযুক্ত যাত্রী আলাউদ্দিন শারজাহ থেকে এসেছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, সোনার বারসহ বের হওয়ার সময় ডা. এম জেড এ শরীফকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি যাত্রীর অসুস্থতার কথা বলে তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গোয়েন্দা তথ্য থাকায় তাকে তল্লাশি করা হলে তার প্যান্টের পকেট থেকে চারটি সোনার বার পাওয়া যায়। সেসময় যাত্রীসহ তাকে আটক করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এম জেড এ শরীফসহ এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দরে কাজ করার সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অপরাধে জড়িত, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে তল্লাশি করা হয়।”
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত সিগারেটের প্যাকেট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ১৪টি সোনার বার জব্দ করে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে সেগুলো শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে একই বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে সাড়ে ৪ কেজি সোনার বার জব্দ করা হয়। এসব সোনার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা।
জব্দ হওয়া এসব সোনার মূল্যের পুরোটাই সরকারি রাজস্ব হিসেবে জমা হয়।