ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক আবদুস সালাম জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদেশের পর বিকাল পৌনে ৪টায় তাকে আদালতের হাজতখানা থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ সাবেক উপাচার্যের পিএ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারকের নির্দেশে পরে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এরপর তারা দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করেন। জামিনের মেয়াদ শেষে রেজিস্ট্রার মাজহারুল রোববার (৭ মে) খুলনার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছিলেন। আর সাবেক উপাচার্যের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানা রহমান শিল্পী জানান, ভুক্তভোগী নারী ২০২১ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্ট্রোলার স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তৎকালীন উপাচার্য নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম তলায় থাকতেন। সেখানে ওই নারী খাবার দিতে যান। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপাচার্য তার বাসায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে আরও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়।
রহমান শিল্পী আরও জানান, এই কাজে তাকে রেজিস্ট্রার সহযোগিতা করেন। রেজিস্ট্রার ভুক্তভোগী নারীকে বলেন যে, কাউকে কিছু জানালে চাকরি থাকবে না। তিনি উপাচার্যকে বলে তার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দিবেন। এছাড়া ওই নারীকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বলেন।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে মোট ৪ জনকে।