টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজছাত্রের হত্যা মামলায় বাদশা মিয়া নামের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে থানার পাশ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, “শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।”