বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সাবেক মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়াস্থ নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেভাজন আসামি হিসেবে সেনা নিয়ন্ত্রিত যৌথ বাহিনীর একটি দল সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে। এরপর তাকে জেলা সদরের সেনা কাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, লতিফ বিশ্বাসকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেভাজন
আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ধ্যয় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সেনাবাহিনীর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ আল-আমীন বলেন, যৌথ অভিযানে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতীতে অস্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় তার ভূমিকা কী ছিল এছাড়া গত পাঁচই আগস্টের আগে তার ভূমিকা কেমন ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সাবেক অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকা থেকে সটকে পড়লেও প্রবীন এ আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। স্থানীয়দের মতে আর এটিই শেষ পর্যন্ত কাল হলো তার।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি পরাজিত হন।
১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রীসভায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।