পাবনা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছোট ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবদের জন্য তমালের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। মামলা দু’টির তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত দুইটার দিকে ঈশ্বরদীর আলোবাগ মোড়ে এক বাসা থেকে তমালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তমালের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ম্যাগজিন এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা কর্মসূচিতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে সদ্য সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা চালান। তারা গুলি করে চারজনকে আহত করেন এবং ভাঙচুর, লুটপাট করেন। এছাড়া পিটিয়ে আরও অন্তত ১৫ জনকে মারাক্তকভাবে আহত করা হয়।
এই ঘটনায় ১৫ আগস্ট ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে গুলিতে আহত নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এমপি গালিবকে প্রধান ও শিরহান শরীফ তমালকে ২নং আসামি করে ৭১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, শিরহান শরীফ তমালের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যাচেষ্টা, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।
মনিরুল জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর তমালকে আদালতে সোপর্দ করে গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য এবং র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক এই দুই মামলায় সাত দিন করে চৌদ্দ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত সেখানে পাঁচ দিন করে মোট দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।