কৃষিবিদদের কল্যাণে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, “অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষাসেবা নিশ্চিত করে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আর স্মার্ট কৃষিবিদ গড়ার মাধ্যমেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব। কারণ কৃষিবিদরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “কৃষিক্ষেত্রে দেশে বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যার কৃতিত্ব কৃষিবিদদের। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে এবং কৃষিবিদদের কল্যাণে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হওয়ায় প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের খাদ্য আমদানি করতে হয় না। যার ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগী হয়ে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের কৃষিবিদ তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী প্রফেসর ড. শামীমা নাসরীন ও সহকারী প্রফেসর ড. পার্থ প্রতীম বর্মণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শরিফুন্নেছা মুনমুন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক। নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ইসাবা মেহজাবিন এবং মনোয়ার মাহতাব।
