• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটপাত থেকে শপিং মল, জমজমাট ঈদের বেচাকেনা


লোটন আচার্য্য, সাভার
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
ফুটপাত থেকে শপিং মল, জমজমাট ঈদের বেচাকেনা
ঈদে সরগরম বিপণিবিতা।

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ বা ১১  এপ্রিল ঈদুল ‍ফিতর উদ্‌যাপন হতে পারে। এরই মধ্যে ঈদ ঘিরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভারের ব্যবসায়ীরা।

পরিবার পরিজন ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য নতুন জমা কাপড় কিনতে ছোট বড় সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট ও ফুটপাতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাকটি কিনতে ছুটছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাভার সিটি সেন্টার, নিউমার্কেট, চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট, অন্ধ মার্কেট, সেনা কমপ্লেক্সসহ সাভারের বিভিন্ন শপিং মল ও ফুটপাতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

আল মামুন নামের এক বিক্রেতা বলেন, “দুই দিন পরেই ঈদ। সারা দিনই ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের পোশাক দোকানে রেখেছি। চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করছি।”

কবির হোসেন নামের এক শাড়ি বিক্রেতা জানান, “পয়লা বৈশাখ ও ঈদকে কেন্দ্র করে শাড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে। তরুণী ও নারী ক্রেতারা বিভিন্ন ব্যান্ডের শাড়ি কেনার জন্য ভিড় করছেন আমাদের দোকানে। আমরাও চেষ্টা করছি ক্রেতার রুচি ও পছন্দ অনুসারে শাড়ির যোগান দেওয়ার জন্য।”

সিটি সেন্টারের শপিং করতে আসা ফাহমিদা নিলুফা বলেন, “শপিংমলগুলোতে ঘুরে দেখেছি। অনেক কিছুই পছন্দ হয়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। গত বছর যে থ্রি-পিস আড়াই হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি, একই রকম থ্রি-পিস এবার চার হাজার পর্যন্ত দাম বলেছি কিন্তু দোকানদার দেননি।”

নবীনগরের সেনা কমপ্লেক্সে পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন আমিনুর রহমান। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “এ বছর মা-বাবা, দাদা-দাদী ও এক ছেলের জন্য কেনাকটা করব। এখানে অনেক ভিড়। মা-বাবার জন্য কেনাকাটা করেছি। এখন বাকিদের জন্য ঘুরে ঘুরে দেখছি কোন পোশাক কেনা যায়।”

এদিকে ঈদের আগে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাতের দোকান। রফিকুল নামে ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী বলেন, “দীর্ঘদিন আমাদের ফুটপাতের দোকান বন্ধ ছিল। সেই কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী এক জায়গায় ব্যবসা শুরু করেছি। এখানেও ক্রেতা আসছে। যদি বেচা বিক্রি ভালো হয়, তবে হয়তো বা আগের ক্ষতিগুলো পুষিয়ে নেওয়া যাবে।”

পোশাক শ্রমিক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “মার্কেটগুলোতে জামা কাপড়ের দাম অনেক বেশি। আগামীকাল কারখানা ছুটির পরে বাড়ি যাব। তাই কেনাকাটা করতে এসেছি। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে যাব।”

Link copied!