ফরিদপুরের সালথায় জয়নাল মাতুব্বর নামে এক কৃষকের বাড়িতে খাবারে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের আটজন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওই কৃষক পরিবারের অভিযোগ, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে সম্রাট মাতুব্বর (৩৬) নামের এক প্রতিবেশী খাবারে বিষ মেশান।
সোমবার (৮ জুলাই) এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সালথা থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষক্রিয়ায় অসুস্থতরা হলেন ডালিয়া বেগম (৩৫), ডালিয়ার মেয়ে যুথী (১৬), একই পরিবারের পপি (২৫), হৃদয় (১৬), ফাতেমা (৮), মিম (৯), অনিতা (২২) ও রাজিব (২০)।
পরিবারের অভিযোগ, শনিবার কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের পিঠার দাওয়াত করা হয়। এ সময় পূর্ব বিরোধের জেরে সুম্রাট মাতুব্বর (৩৬) নামের এক প্রতিবেশী ওই পরিবারের গরুর গোশতের মধ্যে বিষ মেশান। রাত ৮টার দিকে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর একে একে ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ওইদিন রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে একটু সুস্থ হওয়ার পর রোববার বাড়িতে গেলে আবার অসুস্থ হওয়ায় সোমবার দুপুরে আবার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সুম্রাট মাতুব্বরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে খাবারে বিষক্রিয়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তার ভাবী রুমা বেগম।
রুমা বেগম বলেন, “রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছেন তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ দেওয়ার কথা বলছেন তারাও তো আমাদের আত্মীয়। কেনই বা সম্রাট খাবারে বিষ দিতে যাবে। ওই রাতে খাবারে কে বিষ দিয়েছেন সেটা তো কেউ দেখেনি। আমিও চাই যে খাবারে বিষ দিয়েছেন তার বিচার হোক।”
এ ব্যাপারে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি রোগীদের আজই হাসপাতালে দেখতে যাব। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।”
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, “আমাদের এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউ অবহিত করেনি। তবে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।”