ফেনীতে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর এবার পানি কমতে শুরু করেছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার কারণে ফুলগাজীর প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও বন্যাকবলিত মানুষদের ভোগান্তি রয়ে গেছে। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলগাজী বাজারের পর থেকে ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া নতুন নতুন কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফুলগাজীর উত্তর বরইয়া, বনিক পাড়া, বিজয় পুর, কিসমত বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগতপুর, পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়োপুর, অনন্তপুর, চিথলিয়া, ধনীকুণ্ডা, রামপুর, রতনপুর, দূর্গাপুর, জয়পুর, ঘনিয়ামোডা, সাতকুচিয়াসহ বেশ কিছু গ্রামে বানের পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার জানান, ফেনীর দুই উপজেলায় ১৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। বানভাসি মানুষের জন্য শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি ও মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার তিনশ হেক্টর রোপা আমন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ৯৫টি পুকুরের ৩০ মেট্রিক টন মাছ ও ১০ লাখ পোনা ভেসে গেছে। প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ সড়কও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে গেলে বাঁধের মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) মুহুরী নদীর ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর, উত্তর বরইয়া ও পরশুরামের পশ্চিম অলকা এই তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।